জন্মস্থান নড়াইল। পড়াশোনা স্থানীয় স্কুল কলেজও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে। বাংলায় এমএ ২০০২ সালে। মানুষের জীবন ঘেষে অলক্ষে বয়ে চলা যে স্রোতস্বিনী তার সন্ধানে বেরিয়ে পড়া এবং উত্তরবঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ, শিলিগুড়ি, ভুটান, পাঞ্জাব, অমৃতসর, নেপালও তিব্বতের পাদদেশে বিভিন্ন জায়গায় হেটে বেড়ানো। স্কুলজীবনেই লেখালেখি শুরু। প্রথম প্রকাশিত বই গণতন্ত্রের প্রসববেদনা (২০০০) । তার আগে ও পরে বৃষ্টিকান্না গল্প, খাজনাবৃত্তান্ত, কিস্তিমাত, মাস্তলসহ কয়েকটা গল্প প্রকাশিত হয় বিভিন্ন ছোট কাগজে। ১৯৯৯ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে মঞ্চায়িত হয় নাটক উপপতির ছেলে। নাটকটি দর্শকের প্রশংসা লাভ করে।
বান্ধাল
তারেক খান বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ভূভাগ আর জনজীবনকে বলিষ্ঠ হাতে তুলে এনেছেন তার বান্ধাল নামের এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পে। বড় আকার এ উচ্চভিলাষী প্রকল্পের বাইয়ের দিক সবটুকু নয়; অন্তরের প্রযত্নেও উপন্যাসটি যথেষ্ট পরিমাণে ধনী। সেই প্রযত্নের সঙ্গী হয়েছে মানুষের প্রাত্যহিকতা ও সমগ্রতাকে একসূত্রে বাধতে পারার সাফল্য এ উপন্যাসের অসংখ্য মানুষ ব্যক্তিগতভাবেই বাচে বা মরে, কিন্ত সামষ্টিক জীবনের নানা জটিল কায়কারবার থেকে তারা মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়। ব্যাপক আয়োজন সেই সামষ্টিক জীবনের। উৎপাদনব্যবস্থা থেকে সামাজিক উৎসব, ক্ষমতাসম্পর্ক থেকে পারিবারিক টানাপোড়েন, বর্ণাঢ্য বেচে থাকা ও সর্বগ্রাসী মৃত্যু পর্যান্ত তার বিস্তার । ঐ অঞ্চলের জনজীবনে তারেক খানের অভিজ্ঞতা ঈর্ষণীয় । সেই অভিজ্ঞতকে উপন্যাসের ছাচে ভালোভাবেই ব্যবহার করেছেন তিনি। প্রচিলিত পদ্ধতি মেনে দিয়েছেন চরিত্রানুগ সংলাপ ও আঞ্চলিক ভাষা । আর বর্ণনার ভাষার ক্ষেত্রে এগিয়েছেন আরো অনেকখানি আঞ্চলিক নামশব্দ ও ক্রিয়াপদ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন বিশেষ অঞ্চলের গভীর বাস্তব। একই সাথে হুশিয়ার থেকেছেন মধ্যত্তি পাঠকের পাঠ স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারেও, যেন অতিরিক্ত অপরিচিত শব্দ খুব বড় বাধা হয়ে না ওঠে।
তারেক খান বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ভূভাগ আর জনজীবনকে বলিষ্ঠ হাতে তুলে এনেছেন তার বান্ধাল নামের এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পে। বড় আকার এ উচ্চভিলাষী প্রকল্পের বাইয়ের দিক সবটুকু নয়; অন্তরের প্রযত্নেও উপন্যাসটি যথেষ্ট পরিমাণে ধনী। সেই প্রযত্নের সঙ্গী হয়েছে মানুষের প্রাত্যহিকতা ও সমগ্রতাকে একসূত্রে বাধতে পারার সাফল্য এ উপন্যাসের অসংখ্য মানুষ ব্যক্তিগতভাবেই বাচে বা মরে, কিন্ত সামষ্টিক জীবনের নানা জটিল কায়কারবার থেকে তারা মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়। ব্যাপক আয়োজন সেই সামষ্টিক জীবনের। উৎপাদনব্যবস্থা থেকে সামাজিক উৎসব, ক্ষমতাসম্পর্ক থেকে পারিবারিক টানাপোড়েন, বর্ণাঢ্য বেচে থাকা ও সর্বগ্রাসী মৃত্যু পর্যান্ত তার বিস্তার । ঐ অঞ্চলের জনজীবনে তারেক খানের অভিজ্ঞতা ঈর্ষণীয় । সেই অভিজ্ঞতকে উপন্যাসের ছাচে ভালোভাবেই ব্যবহার করেছেন তিনি। প্রচিলিত পদ্ধতি মেনে দিয়েছেন চরিত্রানুগ সংলাপ ও আঞ্চলিক ভাষা । আর বর্ণনার ভাষার ক্ষেত্রে এগিয়েছেন আরো অনেকখানি আঞ্চলিক নামশব্দ ও ক্রিয়াপদ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন বিশেষ অঞ্চলের গভীর বাস্তব। একই সাথে হুশিয়ার থেকেছেন মধ্যত্তি পাঠকের পাঠ স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারেও, যেন অতিরিক্ত অপরিচিত শব্দ খুব বড় বাধা হয়ে না ওঠে।
ISBN-13: | 978-984-8875-06-3 |
---|---|
Publisher: | Adarsha |
Pages: | 640 |
Publication Year: | 2010 |
Dimensions: | 8.5×5.5×0.6 inch |
Language: | Bengali |
Reviews
There are no reviews yet.